“ইসলাম” শব্দের অর্থ কি?
ধর্ম চিন্তা ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীনের জন্য। শান্তি অবতীর্ণ হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর সঙ্গী-সাথীদের উপর।
আরবী ভাষার অভিধান অনুযায়ী “ইসলাম” শব্দটির অর্থ হল “আত্মসমর্পণ করা”, “নিজেকে বিনয়াবনত করা”, “হুকুম মান্য করা”, “কোন আপত্তি ছাড়াই আদেশ-নিষেধ মেনে চলা”, “সর্বান্তকরণে কেবলমাত্র আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীনের ইবাদত করা”।,
তিনি যা বলেছেন তার সবকিছুই বিশ্বাস করা এবং তাঁর উপরেই বিশ্বাস এবং আস্থা রাখা। প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের জন্য যে জীবন ব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলেন তার নামই হল “ইসলাম”।
কেন আমাদের ধর্মের নাম “ইসলাম” হল? আমরা দেখতে পাই যে পৃথিবীর তথাকথিত ধর্মগুলোর প্রত্যেকটির নামকরন হয়েছে হয় কোন বিশেষ ব্যক্তি না হয় কোন বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর নাম অনুযায়ী।
“খ্রিসচিয়ানিটি” নামটি এসেছে “জিসাস ক্রাইস্ট” এর নাম থেকে; বুদ্ধাইজম বা “ বৌদ্ধ ধর্ম” নাম হয়েছে সেই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা “গৌতম বুদ্ধ” এর নাম অনুযায়ী। “জরথুসট্র” ধর্মের অনুসারীরা এই ধর্মের প্রবক্তা “জরথুসট্রের” নাম অনুযায়ী পরিচিত। ঠিক একই ভাবে “ইহুদী” ধর্মের নাম হয়েছে এই ধর্মের অনুসারীদের গোত্রীয় নাম “ইয়াহুদা” থেকে।
বাকি ধর্মগুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে।
তবে ইসলামের ব্যাপারটি একেবারেই ভিন্ন। কারণ ইসলাম কোন বিশেষ ব্যক্তি বা কোন বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর ধর্ম নয়। বরং ইসলাম এমন এক জীবন ব্যবস্থার নাম যা “ইসলাম” শব্দের অর্থ থেকেই বুঝা যায়। “ইসলাম” নামটি থেকে যা বুঝা যায় তা হল এই জীবন ব্যবস্থা কোন ব্যক্তি বিশেষের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি।
এটি কোন বিচ্ছিন্ন একটি জাতি বা গোষ্ঠীর ধর্ম নয়। বরং ইসলামের দাবী হল পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষকেই “ইসলাম” বলতে যা বোঝায় তা মেনে চলবে এবং তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার বাস্তবায়ন ঘটাবে।
“ইসলাম” শব্দটি আক্ষরিক অর্থেই যা বোঝায় তা যদি কেউ মেনে চলে তাহলে সে একজন মুসলিম। হোক সে ব্যক্তি বর্তমানের কেউ অথবা অতীতের কেউ অথবা ভবিষ্যতের কেউ। অর্থাৎ, ইসলাম- বলতে যা বোঝায় তা যে কেউ মেনে চললে সে বর্তমানে মুসলিম, কেউ অতীতে মেনে থাকলে সে মুসলিম ছিল এবং যে বা যারা ভবিষ্যতে মেনে চলবে তারাও হবে মুসলিম।
প্রতিক্ষণ/এডি/ ইসলাম